ঢাকার সাভারে কাজী জাবের নামের এক সুফি সাধকের বাড়ি ও মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বনগাঁও ইউনিয়নের চাকুলিয়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গভীর রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিঞা বলেন, “রাতেই কাজী জাবেরের বাড়ি ও মাজারে হামলার ঘটনায় খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে কোনো সমস্যা নেই। হামলার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”
কাজী জাবের চাকুলিয়া এলাকায় মাওলানা কাজী আফসার উদ্দিনের ছেলে। তিনি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর গ্রামের সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীরের অনুসারী বলে জানিয়েছেন।
হামলার সময় ‘সুফি আত্মপ্রকাশ’ নামের ফেইসবুক আইডি থেকে লাইভ করা হয়েছে। সেই লাইভে হামলার বিবরণ দিয়ে অভিযোগ করা হয়, হামলাকারীরা বাড়িঘর লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। হামলায় তাদের অনেকেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশকে দ্রুত আসার অনুরোধ জানানো হয়।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাঞ্জাবি ও টুপি পরা একদল লোক কাজী জাবেরের বাড়ির দিকে হেঁটে আসছেন। এক পর্যায়ে বাড়ির সামনে গেটে এসে তারা জাবেরকে বাইরে বের হতে বলেন। তখন রাত হওয়ায় জাবের গেট খুলবেন না বলে তাদের জানিয়ে দেন।
এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তিরা জাবেরের বাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিক্ষেপ করতে শুরু করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় নারীদের চিৎকারও শোনা যায়। তখন কাজী জাবের তার লোকজনদের মারধর করা হচ্ছে বলে ভিডিওতে বিবরণ দেন।
এক পর্যায়ে বাড়িটির বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যায়। তখন ভিডিওর বিবরণে দাবি করা হয়, চাকুলিয়া মসজিদের ইমাম তৈয়ব খান লোকজনকে ‘উস্কে’ দিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।
স্থানীয় কয়েকজন জানায়, কাজী জাবের দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিলেন। দেশে আসার পর তিনি ওই এলাকায় বাড়ি করেন। সেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী-পুরুষ আসেন। এছাড়া ‘সুফী আত্মপ্রকাশ’ নামের একটি ফেইসবুক পেজ থেকে জাবের কিছু ‘বিতর্কিত’ ভিডিও পোস্ট করেন। সেগুলো নিয়ে নানা ধরনের বাজে মন্তব্য করা হয়।
ঢাকা জেলা পুলিশের সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির বলেন, “রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে বিষয়টি আমরা দেখছি।” সূত্র: বিডি নিউজ