সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে সোমবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা এখন ৩০ বছর। এটি ৩৫ করার দাবিতে কয়েক বছর ধরেই নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে একদল মানুষ।
‘চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’এর ব্যানারে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকার তাদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া নেয়নি, বরং না একাধিকবার নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রবল গণ আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের তিনদিন পর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে নানা দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচির মধ্যে মাঠে নামে বয়সসীমা নিয়ে আন্দোলনকারীরাও।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে জমায়েত হলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে সেখান থেকে ১৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে দাবি এ আন্দোলনের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা শরিফুল ইসলাম শুভ। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে বলেও দাবি তার।
সেখান থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য পাদদেশে অবস্থান নেয়।
আন্দোলনকারীদের উপর আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বল প্রয়োগ এবং তাদের দাবিকে কীভাবে দেখছেন- এই প্রশ্নে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, “সরকার উচ্চ ক্ষমতার কমিটি গঠন করেছে। এর মানে হচ্ছে ‘তোমাদের কোনো আশ্বাস না, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’।”
কমিটির কাজ দ্রুত বাস্তবায়নে গাড়ি বাদ দিয়ে বাইকে করে উপদেষ্টার কাছে পৌঁছাতে রওনা হচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা যেহেতু এই ক্রাইসিসে আমাদের সাথে কাজ করছেন তাই শেয়ার করলাম। হাউ গভর্নমেন্ট ইজ ফাংশনিং, গিভিং টপ প্রায়োরটি।”