সাত দিনের মধ্যে তাদের দাবির বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নিবে- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের এই আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিত করেছে রাজধানীর তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে যারা অনশন করছিলেন তারা তাদের অনশন ভেঙেছেন। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান ও তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ শিপ্রা রাণী মন্ডলের উপস্থিতিতে তারা অনশন ভাঙেন।
রাত সাড়ে নয়টার পর মহাখালী রেলক্রসিংয়ে অনশন ভাঙার ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্যের’ নেতা ও অনশনরত শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম।
আন্দোলনের কর্মসূচি স্থগিতের পর ট্রেন ও যান চলাচল শুরু হয়েছে।
গত বুধবার থেকে কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয় করাসহ সাত দফা দাবিতে অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন তারা।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা রাতে আন্দোলনকারীদের কাছে এসে বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যু বাদ রেখে বাকিগুলোর বিষয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন।
আন্দোলনকারীরা গত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে সড়ক অবরোধ করে। এতে শহরের যানচলাচলে চরম সংকট তৈরি হয়। সোমবার বিকেল থেকে তারা মহাখালীতে রেল লাইন অবরোধ করলে দেশজুড়ে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিকেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তিতুমীর কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন ‘জনগণই তাদের একসময় উঠিয়ে দিবে রেললাইন থেকে’।
“এরা লোকজনকে অতিষ্ঠ করে ফেলতেছে। দিনের পর দিনের দাবি দাওয়া বেড়েই চলেছে। তারা রাস্তা ছেড়ে দিক। জনগণের কোনো দুর্ভোগ যেন তারা সৃষ্টি না করে,” মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলছিলেন তিনি।
বেশ কিছু দিন ধরেই স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করতে দেখা গেছে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের।
গত ২৬শে জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তিতুমীর কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধিভুক্তি থেকে সাত কলেজকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানান।
পরে সরকারের দিক থেকে জানানো হয় যে এই সাত কলেজকে নিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি চিন্তা করা হচ্ছে।
এরপর নতুন করে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।