আজ বুধবার সকালে ৭:৩০ টার সময় আশুলিয়া ৩ নং ওর্য়াডের মধ্য আউকপাড়ার কবরস্থানের দক্ষিণ প¦ার্শে স্বামী তার স্ত্রী ও শালাকে এলোপাতারী ছুরিকাঘাতে জখম করেন।
এরপর তার স্বামী ও তার সহযোগী সেই জায়গা থেকে পালানোর সময় তার স্ত্রী ও শালার চিৎকার শুনে তাদেও প¦ার্শবর্তী স্থানীয় লোকজন তাদেও আটক করে পুলিশে দেয়। জখম অবস্থায় পরে থাকা তার স্ত্রী ও শালাকে জরুরী পর্যায়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এরপর আমাদের আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার এর মাধ্যম থেকে আমাদের ই-সময় নিউজের প্রতিবেদক জানতে পারে যে, স্ত্রী মেয়েটির নাম মোসাঃ শেফালী আক্তার (২৫), তার ভাই মোঃ ওমর ফারুক (১৭) ও তার স্বামীর নাম মোঃ মিজানুর রহমান। বিগত ১০ বছর আগে পারিবারীক ভাবে শেফালীর সাথে মিজানুর রহমানের বিয়ে হয়। সে ঘরে ২ জন সন্তান আছে মোসাঃ মিম (৬), মোসাঃ তাইয়্যিবা (২) প্রায়। মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে সাংসারিক কলহ বেধে থাকে।
বিবাদীর ঘরে শেফালী সুখে শান্তিতে সংসার করতে পারছিলো না। শেফালী ও তার ভাই আউকপাড়া নিকটস্থ প¦াশবর্তী এলাকায় কুমকুমারী চান্তিক ফ্যাক্টরীতে চাকরী করেন। বিবাদী মিজানুর ও তার সহযোগী অব্যাহত ভাবে কু-পরামর্শে তার মেয়েকে চারিত্রিকভাবে অপবাদ দিয়ে সন্দেহ পোষন করিয়া প্রতিনিয়ত মারপিট করিত। যাহার কারনে মেয়ে তার বাচ্চাসহিত ৬ মাস ধরে সে তার বাবার বাসায় চলে যায়।
বিবাদী মিজানুর তাহার স্ত্রী ও তার শিশু সন্তানদেরকে কোনো ভরণ পোষন দেয় নাই। মাঝে মাঝে বিবাদী মেয়ের বাবার বাসায় গিয়ে শেফালীকে ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শণ সহ শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার করতো। সে প্রতিনিয়ত নেশা গ্রস্থদের সাথে চলাফেরা করতো। বিবাদী মিজানুরের অত্যাচাওে মেয়েটি অতিষ্ঠ হয়ে বিগত ২৫/১০/২০২১ তারিখে মিজানুরকে তালাক নোটিশ পাঠায়।
বিবাদী মিজানুর তালাক নোটিশ পেয়ে তার স্ত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিনিয়ত খুন জখম করার ও হুমকি সহ সুযোগ খুজঁতে থাকে। বিবাদী মিজানুর ও তার সহযোগীকে নিয়ে তাহার স্ত্রীর কর্মস্থল অনুসরণ করে বিবাদীর সাথে সংসার করিতে না চাইলে সে তাকে বাচঁতে দিবে না। এই বলিয়া সে বিভিন্ন সময় তাকে প্রকাশ্যে ভীতি প্রদর্শন করেন। এরই জের ধরে সে তাদের প্রতি প্রকাশ্যে হামলা চালায়।