সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা ও বিদ্বেষমূলক আচরণে রাষ্ট্রীয় নিরবতার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইজা মেহজাবিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী এরফানুল ইসলাম ইফতু, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তাপস্বী দে প্রাপ্তি, ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শরণ এহসান।
এরফানুল ইসলাম ইফতু বলেন, “জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে সবার আন্দোলনে শহীদদের রক্তের উপর দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন করে এই নতুন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। কিন্তু আমরা সেই বাংলাদেশে আবার রক্তের বন্য দেখতে পাচ্ছি। যে স্লোগান আমরা স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে দিয়েছিলাম সেই স্লোগান আবার দিতে চাই। এই দেশ কারো বাপের না। এই দেশ কোনো ধর্মের, কোনো বর্ণের একার নয়, কারো একার সম্পত্তি না।
“এই দেশ সবার সম্পত্তি। একজন ব্যক্তি যত বড় অপরাধীই হোক মব জাস্টিসে কারো মৃত্যু আমরা চাই না। মানুষের মৃত্যু হোক সম্মানজনক ও স্বাভাবিকভাবে। সারাদেশে মাজারে ও হিন্দু ধর্মালম্বীদের উপসানালয়ে হামলা হচ্ছে, শিক্ষকদের উপর নিপীড়ন নেমে এসেছে। এই ঘৃণা, বিদ্বেষ, মব জাস্টিস আমরা নতুন বাংলাদেশে চলতে দেব না।”
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শরণ এহসান বলেন, “স্বৈরাচর পতনের পর দুই মাসও হয়নি কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পুর্নবাসন শুরু হয়ে গেছে। সারাদেশে মাজারের উপর আক্রমণ শুরু হয়েছে। গতকাল রাতেও সাভারের একটি সুফিবাদের পরিবারের উপর আক্রমণ হয়েছে।”
এ ধরনের কাজ কোনোভাবেই কাম্য নয় জানিয়ে শরণ এহসান বলেন, “আমরা সব জাতিগোষ্ঠী ও মতাদর্শী একত্রিত হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম। কিন্তু ফ্যাসিবাদের পতনের পর হিন্দু ধর্মালম্বীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। এভাবে ভিন্ন মতাদর্শীদের আলাদা করার চেষ্টা করা হলে বাংলাদেশ সুন্দর আগামীর দিকে এগিয়ে যেতে পারবে না।”