প্রচন্ড চাপের মধ্যেও দখলদার ইসরায়েলের উপর হামলা অব্যাহত রেখেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তারা আজও ইসরায়েলে তিনটি বড় অভিযান চালিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা রোববার জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা দখলদার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের ওফেক সামরিক ঘাঁটিতে একাধিক ফাদি-১ রকেট ছুড়েছে।
এছাড়া লেবাননী গ্রাম হুলার উল্টো পাশে অবস্থিত মানারাত অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র এ গোষ্ঠী।
এ দুটি স্থান ছাড়াও ইসরায়েলের অবৈধ বসতি সা’আর লক্ষ্য করে একাধিক রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ।
দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামলার সত্যতা শিকার করেছে। তবে তারা দাবি করেছে, হিজবুল্লাহর ছোড়া বেশিরভাগ রকেটই আটকে দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময় হামাসকে সহযোগিতা করতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের অবৈধ বসতিতে রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। এতে করে ইসরায়েলকে তাদের ৬০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে হয়।
ইসরায়েল চাইছিল হিজবুল্লাহ যেন রকেট হামলা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ তার সর্বশেষ বক্তব্যে বলে যান যতদিন পর্যন্ত গাজায় হামলা অব্যাহত থাকবে; ততদিন পর্যন্ত তারা রকেট হামলা বন্ধ করবেন না।
এমন ঘোষণা দেওয়ার এক সপ্তাহ পরই নাসরুল্লাহকে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েল। যদিও দলের প্রধান নিহত হয়েছেন। কিন্তু হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা তাদের হামলা পুরোপুরি বন্ধ করেননি।