রবিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৫

২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

leading admission leading admission
রবিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৫
২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সরকারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর- ১৮২
**সদ্যপ্রাপ্ত

>> দেশের প্রতি ১০ শিশুর মধ্যে ৪ জনের রক্তে ‘উদ্বেগজনক’ মাত্রায় সীসা

>> রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত শমসের মবিন চৌধুরীর

>> খাতা পুনঃনিরীক্ষণ : সিলেটে এইচএসসিতে পাস আরও ৩১ জন

>> সিলেটে অ্যাম্বুলেন্স ও বাসে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা

>> লিবিয়া উপকূলে ২৬ বাংলাদেশিকে নিয়ে ডুবে গেলো নৌকা, ৪ জনের মৃত্যু

>> স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ৫৫১৯ টাকা

>> নির্বাচনে ৯ দিনের জন্য মাঠে নামবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

>> ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের থানায় বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত

>> শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর

>> দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে ভুল হবে : সেনাপ্রধান

আপনি পড়ছেন : বিশ্ব

আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক স্থগিত


আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
2025-10-14
আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক স্থগিত

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে উসকানিমূলক হামলার পর বর্তমানে ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে ‘কোনও সম্পর্ক নেই’। সোমবার (১৩ অক্টোবর) জিও নিউজের অনুষ্ঠান ‘আজ শাহজেব খানজাদা কে সাথ’-এ খাজা আসিফ বলেন, আজকের দিনে আমাদের মধ্যে কোনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পর্ক নেই। হামলার উসকানি দেওয়ার জন্য আফগানিস্তানকে দায়ী করেছেন তিনি। পাকিস্তানের দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ আরও বলেন, এ মুহূর্তে পরিস্থিতি স্থবির। সক্রিয় যুদ্ধ চলছে না বলা যায়, কিন্তু পরিবেশটি শত্রুতাপূর্ণ।’

মন্ত্রী আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা যেকোনো সময় পুনরায় শুরু হতে পারে। তাই পাকিস্তানকে ‘সতর্ক অবস্থায়’ থাকতে হবে।

সংলাপের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আসিফ বলেন, ‘হুমকির মধ্যে কোনো আলোচনা সম্ভব নয়।’

খাজা আসিফ বলেন, যদি আফগানিস্তান আলোচনায় বসতে চায় অথচ একই সঙ্গে পাকিস্তানকে হুমকি দেয়, তাহলে আগে তারা তাদের হুমকি কার্যকর করুক—আমরা পরে আলোচনা করব।’

পাকিস্তানের সামরিক প্রতিক্রিয়া ন্যায্য ছিল বলে দাবি করেন আসিফ।

তিনি বলেন, এটা একেবারেই স্বাভাবিক বিষয়। যদি আপনাকে আক্রমণ করা হয়, আপনি সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন এবং হামলার উৎসকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারেন। আমরা কোনও জনবসতিপূর্ণ এলাকা বা সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করিনি। আমরা কেবল তাদের ঘাঁটিগুলোকে টার্গেট করেছি।’

মন্ত্রী আফগানিস্তানকে বহু আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগও করেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব জানে, আফগানিস্তান এখন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের এক মিলনস্থল, যেখানে আইএস, আল-কায়েদা ও তালেবান সক্রিয়। এরা সবাই কাবুলের ছায়াতলে রয়েছে।’

তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর প্রধান নূর ওয়ালি মেহসুদের আফগানিস্তানে উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আসিফ বলেন, ‘আমরা যাদের লক্ষ্যবস্তু করেছি, তারা ছিল তাদের ভূখণ্ডেই। আমি যখন দুই-আড়াই, তিন বছর আগে সেখানে গিয়েছিলাম, তখন তারা বলেছিল এই লোকদের সরিয়ে দেবে। সে চাঁদে ছিল না, আফগানিস্তানেই ছিল।’

শেষে আসিফ কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় আন্তরিকতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।