একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ সেঞ্চুরি করলেন মুমিনুল হক। কিন্তু অন্য পাশে তাকে সঙ্গ দিতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস ও সাকিব আল হাসান। ৩ উইকেটে ১০০ রান করে প্রথম সেশন পার করল বাংলাদেশ।
চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ৬৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০৫ রান। মুমিনুল ১৭৬ বলে ১০২ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ২৬ বলে ৬ রানে অপরাজিত। দুজনের জুটির সংগ্রহ ৩৫ রান।
দিনের শুরুতে জাসপ্রিত বুমরাহর ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হন মুশফিক। পরে মোহাম্মদ সিরাজের বলে আক্রমণাত্মক শট খেলতে গিয়ে মিড অফে রোহিত শার্মার দারুণ ক্যাচে আউট হন লিটন।
এই ম্যাচের আগে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া সাকিবও পারেননি বেশিক্ষণ টিকতে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বাউন্ডারি মেরে পরের বল আবার বড় শট খেলতে গিয়ে সিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে ৯ রান করে ফেরেন সাকিব।
এরপর প্রথম সেশনে আর বিপদ ঘটতে দেননি মুমিনুল ও মিরাজ। নব্বই ছুঁয়ে জীবন পাওয়ার পর ক্যারিয়ারের ১৩তম ও দেশের বাইরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন মুমিনুল। ভারতের মাঠে সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান তিনি। প্রথমজন মুশফিক।
মুমিনুলের চমৎকার সেঞ্চুরি
ভারতের মাঠে প্রথম ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে নিয়ে গেলেন মুমিনুল হক। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে সুইপ করে তিন অঙ্কে পৌঁছান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ক্যারিয়ারের ১৩তম শতক করতে ১৭২ বল খেলেন মুমিনুল, ১৬ চারের সঙ্গে মারেন ১টি ছক্কা। দেশের বাইরে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
নব্বই ছুঁয়ে জীবন পেলেন মুমিনুল
আগের ওভারে রবীন্দ্র জাদেজার দারুণ শটে ছক্কা মেরে নব্বইয়ে পা রাখেন মুমিনুল হক। পরের ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বাজতে পারত তার বিদায়ঘণ্টা। তবে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন বাঁহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি কাট করার চেষ্টায় ঠিকঠাক খেলতে পারেননি মুমিনুল। উইকেটের পেছনে যাওয়া বল গ্লাভসে জমাতে পারেননি রিশাভ পান্ত। অবশ্য বেশ কঠিন ক্যাচই ছিল সেটি। ৯৩ রানে বেঁচে যান মুমিনুল।
এর পরের ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের বলে অল্পের জন্য স্লিপে ধরা পড়েননি মুমিনুল। দারুণ ক্ষিপ্রতায় ডাইভ দিয়েও হাতে নিতে পারেননি ভিরাট কোহলি।
৬৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৯৯ রান। মুমিনুল ১৭০ বলে ৯৬ রানে অপরাজিত। মেহেদী হাসান মিরাজ খেলছেন ২৬ বলে ৬ রানে।