জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পর্দা নামলো। রবিবার (১৯ জানুয়ারী) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিলেট বিভাগ ও রংপুর বিভাগের ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামে টুর্নামেন্টের। এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর বিভাগ।
এদিন টস হেরে সিলেটে বিভাগ ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায়। ওয়াসিফ আকবরের ব্যাটে সিলেট নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে। সিলেটের এই ব্যাটার ৪১ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া শাহনাজ আহমেদ ১৭ ও জয়নুল ইসলাম খেলেন অপরাজিত ১৩ রানের ইনিংস। সিলেটের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার অলক কাপালি। ব্যাট হাতে অবশ্য গোল্ডেন ডাক মেরেছেন তিনি। তবে বল হাতে সফল হয়েছেন তিনি। ২৫ রান খরচায় নিয়েছেন দুটি উইকেট।
১৪৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় রংপুর। তবে যুব বিশ্বকাপ দলের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুনের ব্যাটে চড়ে জয় পেতে সমস্যা হয়নি রংপুরের। এক প্রান্তে উইকেট হারাতে থাকলেও মামুনের দায়িত্বশীল ইনংসের উপর ভর করে ৪ বল আগে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে রংপুর। জয় থেকে ৭ রান দূরে থাকে মামুন আউট হন। ৫৯ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় মামুন ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর আর কোন উইকেট হারায়নি রংপুর। মামুন ছাড়াও নবীনের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রানের ইনিংস।
জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ফাইনেল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলকে পুরুস্কার তুলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-এর সাবেক পরিচালক, সিলেটে আয়োজিত জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেটে আয়োজিত জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিলেট দলের ম্যানেজার জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান পাপলু, সহকারী ম্যানেজার জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাসেম, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক এসকে ফাহিম সিনহা, মাহবুব আনাম, কাজী ইনাম আহমেদসহ বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালক। এছাড়া বিএনপি নেতা ইসরাক হোসেন, আমিনুল ইসলাম ছাড়াও দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ।