শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫

১২ বৈশাখ ১৪৩২

leading admission leading admission
শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫
১২ বৈশাখ ১৪৩২
সরকারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর- ১৮২
আপনি পড়ছেন : শিল্পসাহিত্য

কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী জন্মবার্ষিকী উদযাপন


ডিএসএম ডেস্ক
2024-06-08 13:05:15
কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী জন্মবার্ষিকী উদযাপন

কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীর ১১২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তার নির্বাচিত কবিতা গ্রন্থের প্রকাশনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শুক্রবার (৭ জুন) বিকেল ৫টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনের অনুষ্ঠানের শুরুতে আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী রচিত গানের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী স্মৃতি পর্ষদ সিলেটের আয়োজনে বিকাল ৫ টায় কবির নির্বাচিত কবিতা গ্রন্থের প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা তবারক হোসেইন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডীন (মানবিক অনুষদ) ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড.জফির সেতু, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্টার, লেখক ও গবেষক মিহির কান্তি চৌধুরী, লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোস্তাক আহমাদ দী্ সভায় সভাপতিত্ব করেন কবি ও প্রাবন্ধিক এ কে শেরাম। 

জান্নাতুল নাজনিন আশার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী স্মৃতি পর্ষদ, সিলেটের সভাপতি আলী মোস্তাফা চৌধুরী।

সভায় বক্তারা বলেন, কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি প্রথম সনেট লিখেন। বিস্মৃতির চোরাবালিতে প্রায় হারিয়ে যাওয়া কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী এক নিভৃতচারী শিল্প-সাধক।

আলোচনা সভা শেষে শিশুশিল্পীদের দলীয় ও আমন্ত্রিত শিল্পীরা বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন। 

সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিলেন হিমাংশু বিশ্বাস, সুকোমল সেন, বিজন কান্তি রায়, মিতালী চক্রবর্তী, সুস্মিতা চন্দ ঐশী। পরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। 

 

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা তবারক হোসেইন বলেন, আমি কবিকে সচ্ক্ষে দেখেছি। ১৮ বছর বয়সে তিনি প্রথম সনেট লিখেন। তিনি চলে যাওয়ার পর সেসময় আমি শুনতে পেলাম তার সমস্ত কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের জন্য তার একজন অনুরাগী বাংলা একাডেমির একজন কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও এসব পান্ডুলিপি প্রকাশ হয়নি। তখন আলী মোস্তফা চৌধুরীকে বললাম পান্ডুলিপি উদ্ধারের জন্য। এরপর ১৯৯৬ সালে পান্ডুলিপি উদ্ধারের পর কবির স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়। ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠানে জনসমুক্ষে আবদুল গাফফার চৌধুরী প্রথম আত্মপ্রকাশ হয়। ওই আয়োজনের সাথে থাকতে পারায় আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। তার সুপুত্রের কারণে তিনি এখনো আমাদের বর্তমান প্রজন্মের কাছে পরিচিত। শিশুদের মধ্যে গানগুলো ছড়িয়ে দেওয়া উদ্যোগ ভাল। এর মাধ্যমে কবির গানগুলো সর্ব সাধারনের কাছে পৌঁছাবে। তার গান, সনেট, নির্বাচিত কবিতার বইগুলো জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার বিষয়। নজরুল, জসিমউদ্দিন, সুফিয়া কামালের পরই কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী নাম উচ্চারণ করা উচিত ছিল। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা সেটা করতি পারিনি।