ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শনিবার ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন। টানা তৃতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসা নরেদ্র মোদী সরকারের এ দফার বাজেট প্রস্তাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এটাই এ যাবৎকালের সবচেয়ে 'ফ্রেন্ডলি বাজেট' যেখানে 'মধ্যবিত্তের' কথা মাথায় রাখা হয়েছে, পাশাপাশি 'অর্থনীতিরও'।
অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগ বাজেট প্রস্তাব 'দিশাহীন'।
তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসা বিজেপি সরকার শরিকনির্ভর। জোটসঙ্গীদের 'সন্তুষ্ট' করার সমীকরণের কারণে যেমন রাজনীতির অঙ্কে পরিবর্তন এসেছে তেমনই, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাবেও।
বিপুল পরিমাণে পরিকাঠামোয় অর্থ বরাদ্দের বদলে এই বাজেটে মধ্যবিত্তদের কিছুটা 'স্বস্তি' দিতে চায় এমনটাই দাবি বিজেপি সরকারের। এজন্য আয়করে ছাড় দেওয়ার নীতি বেছে নিয়েছে মোদী সরকার।
কেন্দ্রের দাবি এই বাজেট প্রস্তাব মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে
বাজেট প্রস্তাব
বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছেন, নতুন কর কাঠামো অনুযায়ী বছরে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড় রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এর ঊর্ধ্বসীমা ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
এছাড়াও, কৃষক ও নারীদের কথা মাথায় রেখে এবং ক্ষুদ্রশিল্পকে চাঙ্গা করতে বাজেটে বেশ কিছু প্রকল্প ও আর্থিক বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। ক্যান্সারসহ ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধের ওপর আমদানি শুল্ক পুরোপুরি মওকুফ করা হচ্ছে।
শনিবারের বাজেট প্রস্তাব নিয়ে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ওষুধ, ভোগ্যপণ্যের দাম কমছে কি না। পাশাপাশি চাকরিজীবীদের নজরে ছিল আয়করের ছাড়ের ওপর। অর্থনীতিবিদরা তাকিয়ে ছিলেন দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সরকার কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে তার দিকে।
এই সমস্ত কিছুর মাঝে অন্য অঙ্কও রয়েছে। চলতি সপ্তাহেই দিল্লিতে ভোট রয়েছে, তার আগেই পেশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তাব। দিল্লিতে জেতার লক্ষ্যে 'মরিয়া' বিজেপি।
অন্যদিকে, চলতি বছরে বিহারের বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা, ২০২৬- এ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন।
বিশেষজ্ঞদের মতে সেই সমস্ত কিছুকে মাথায় রেখেই এই বাজেটে 'মধ্যবিত্তদের' কথা 'মনে রেখেছে' কেন্দ্র সরকার।
এদিকে, এই কর ছাড়ের ফলে সরকারের এক লাখ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হবে। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে বিজেপিকে নিশানা করছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী বলেছেন, "বিশ্বজোড়া আর্থিক সংকট থেকে বেরোনোর জন্য আমাদের একটা দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে এই সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।"
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজেটকে 'হাতিয়ার' করে মধ্যবিত্তদের 'মনজয়' করার চেষ্টা করলেও অর্থনীতি সংস্কার নিয়ে ভাবনা-চিন্তা বা রাজস্ব আদায়ে যে ঘাটতি দেখা যাবে তা পূরণের বিষয়ে কোনো উল্লেখ করা হয়নি বাজেট প্রস্তাবে।
১২ লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়
শনিবার পেশ করা বাজেটের যে বিষয় নিয়ে চর্চা হচ্ছে, তা হলো আয়করে ছাড়। বস্তুত, এই ছাড় দিয়েই মধ্যবিত্তকে 'খুশি' করতে চেয়েছে মোদী সরকার।
প্রসঙ্গত, ভারতে এই মুহূর্তে দুই ধরনের আয়কর রেজিম বা আয়কর ব্যবস্থা আছে- পুরানো ও নতুন।
পুরানো কর ব্যবস্থার আওতায় পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড, জীবনবীমা ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করলে ছাড় রয়েছে। নতুন রেজিমে তা নেই। দুই ক্ষেত্রে আয়করের স্ল্যাবও ভিন্ন।
গত বছরের তুলনায় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশানের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার করা হয়েছে। বেতনভোগীদের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন-এর সুযোগ থাকে, যার মাধ্যমে বেতনভোগী ব্যক্তির আয় থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আগেই হ্রাস করে দেওয়া হয় যাতে তার সামগ্রিক করের দায় কমে যায়।
নতুন কর কাঠামোতে কয়েকটি স্ল্যাব রয়েছে। প্রস্তাবিত কাঠামোয় চার লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনো আয়কর দিতে হবে না। আগে, তিন লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কর দিতে হতো না।
চার থেকে আট লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের পাঁচ শতাংশ আয়কর বসবে। আট লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের স্ল্যাবে ১০ শতাংশ আয়কর দিতে হবে।
যাদের বার্ষিক আয়, ১২ লাখের বেশি থেকে শুরু করে ১৬ লাখ পর্যন্ত, তাদের দিতে হবে ১৫ শতাংশ আয়কর।
কিন্তু এই প্রস্তাবের পরে আবার বলা হয়েছে, কারও বার্ষিক আয় ১২ লাখ টাকা হলে তাকে নতুন কাঠামোর স্ল্যাব মিলিয়ে মোট ৬০ হাজার টাকা কর দিতে হতো। কিন্তু সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে ওই ৬০ হাজার টাকাও ছাড় দেওয়া হবে। তাই তার আয়কর শূন্য।
এইবার কারও যদি আয় ১৩ লক্ষ টাকা হয়, তাহলে তিনি ওই ছাড় পাবেন না। তাকে কর দিতে হবে ৭৫ হাজার টাকা।
অর্থমন্ত্রী যুক্তি দিয়ে বলেছেন, "সরকার মনে করে, কেউ যদি গড়ে মাসে এক লক্ষ টাকা আয় করেন তাহলে তাকে কর দিতে হবে না। আমরা দু'টো উপায়ে এটা অর্জন করব। প্রথমত আরও প্রগতিশীল কর কাঠামো তৈরি করে করের হার হ্রাস করে এবং দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন আয়ের মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে।"
তিনি আরও বলেন, "কিছু শ্রেণির মানুষকে আয়কর ছাড়ের বাইরেও কিছু অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া উচিৎ বলে আমরা মনে করি। তাই, একটা অতিরিক্ত ছাড় চালু করা হয়েছে। করের হার হ্রাস সকলের জন্যই প্রযোজ্য। কয়েকজন শুধুমাত্র অতিরিক্ত ছাড় পাবেন। এর ফলে করদাতারার সঞ্চিত অর্থ নানা খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনীতিতে ফিরে আসবে।"
বিতর্ক
সরকারের দাবি, হাতে নগদ থাকায় মানুষ জিনিস কিনবে বা সঞ্চয় করবে, অথবা কোথাও লগ্নি করবে। এতে বাজারে কেনাকাটা বাড়বে, অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
নির্মলা সীতারামনের এই ঘোষণার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে। একদিকে যেমন, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে আয়কর ছাড়ের দিকে তাকিয়ে একটু স্বস্তি পেয়েছেন, অনেকেই পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতে কতজনের আয় বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা?
একদিকে যেমন বিরোধীরা এই প্রশ্ন তুলে বিজেপিকে নিশানা করেছে তেমনই বাড়তে থাকা দ্রব্যমূল্যের কথা বলেছেন সাধারণ মানুষের অনেকেই।
হাওড়ার বাসিন্দা সৌম্য গাঙ্গুলি বলেছেন, "হাতে গোনা মানুষ ওই পরিমাণ বার্ষিক আয় করেন। যুব সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশের হাতে চাকরি নেই। আয় হলে, হাতে টাকা থাকলে তবেই সে খরচ করতে পারবে।"
"সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। সে সবের কিছুই তো বাজেট প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের কথা ভেবে আলাদা করে কিছু বলা হয়নি যেভাবে বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশ নিয়ে বলা হয়েছে। তার জোট শরিক কারণ নীতিশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুকে সন্তুষ্ট করতে চায় মোদী সরকার।"
চেন্নাইয়ের বাসিন্দা ডি রবিচন্দ্রন বাজেট নিয়ে তেমন সন্তুষ্ট নন। তার কথায়, "তথ্যপ্রযুক্তির মতো কয়েকটা সেক্টর বাদে কোথায় এত টাকা বেতন দেওয়া হয়? আর যদি এই অর্থও কেউ উপার্জন করে, তাহলে প্রতিমাসে যে খরচের বহরটা বাড়ছে, তার হিসেব সরকার রাখে?"
তবে ক্যান্সারসহ যে জীবনদায়ী ওষুধের ক্ষেত্রে যে আমদানি শুল্ক মওকুফ করা হয়েছে সেই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। প্রতিটা জেলায় ক্যান্সার রোগীদের জন্য নিরাময় কেন্দ্র খোলার কথাও বলা হয়েছে।
চিকিৎসক গৌরব রায় বলেন, "ক্যান্সার আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে চিকিৎসার খরচও বাড়ছে। জীবনদায়ী ওষুধ নিয়ে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। তবে এর আওতায় আরও অনেকই ওষুধই আনা দরকার।"
বাজেট প্রস্তাবের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
জিন্দল স্কুল অফ গভর্নমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক পলিসির অধ্যাপিকা সুনেত্রা ঘটক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের অর্থনীতিতে আর্থিক বৃদ্ধির গতি উল্লেখযোগ্যভাবে শ্লথ হয়ে পড়েছে। কোভিডের পরবর্তী সময়ে সরকার অনেকটাই পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছিল। কিন্তু গত কয়েক কোয়ার্টারে তা মার খেয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৪ শতাংশ।"
বিশেষজ্ঞদের মতে এই হার সাম্প্রতিক সময়ে সর্বনিম্ন।
তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, "এর নেপথ্যে থাকা কারণের মধ্যে একটা হলো, কনজাম্পশন বা ভোগের
গতি ধীর হয়েছে। ভারতে এই কনজাম্পশন রেট ৫৭ শতাংশের মতো, যা সম্প্রতি কমেছে।"
অর্থাৎ সহজভাবে বলতে গেলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। লক্ষ্য করা গিয়েছে মানুষ এখন বেশি কেনাকাটা করছে না।
ড. ঘটক ব্যাখ্যা করেছেন, "সবচেয়ে বড় অংশের ক্রেতা হলো মধ্যবিত্ত। এর পিছনে যে সমস্ত কারণ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন তারমধ্যে একটা হলো মানুষের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা।"
"সেই দিক থেকে যে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছে, তার ফলে মানুষের কিছুটা স্বস্তি হবে। তাদের হাতে খরচের জন্য টাকা থাকবে। টাকা থাকলে খরচ বেশি হবে অর্থাৎ ভোগ বেশি হবে। তার একটা সামগ্রিক প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বে এবং এই যে চাহিদা ধীর হয়ে যাওয়ার জন্য জিডিপি হ্রাস পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেটা কিছুটা মোকাবিলা করা যাবে।"
বাজেট প্রস্তাবকে মোটের ওপর ইতিবাচক বলে মনে করেন জিন্দল স্কুল অফ গভর্নমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক পলিসির অর্থনীতির অধ্যাপক ড. দেবজিৎ ঝা।
তার কথায়,"পরিবার প্রতি লোন নেওয়ার হার কিন্তু কোভিডের পর বেশি। মানুষের হাতে টাকা এলে হয়ত তারা এই লোন শোধ করবে এমনটা অনুমান করা যায়।"
ড. ঝা বলেছেন, "এর বেশ নেতিবাচক দিকও আছে। হাতে বেশি নগদ থাকার ফলে মানুষ যদি বেশি খরচ করেন তাহলে মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা রয়েছে।"
"আয়করে ছাড় দেওয়ার ফলে যে বিপুল পরিমাণে রাজস্বে ক্ষতি হবে সেই বিষয়ে সরকার কী ভাবছে সেটাও দেখা দরকার। কিন্তু দেশে রাজস্ব আদায় কমলে তার প্রভাব শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত, অবকাঠামো, লগ্নি-সহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী বিষয়ের ওপর পড়ে। ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্টে নিবেশ কমলেও দেশে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা দেখা যাবে।"
সিনিয়র বিজনেস রিপোর্টার এম দাশগুপ্তের মতে নতুন কর ব্যবস্থার দিকে আকৃষ্ট করতে চাইছে সরকার। তার কথায়, "বাজেট প্রস্তাবে এটা স্পষ্ট যে সরকার চায় করদাতারা নতুন ট্যাক্স রেজিমের বিষয়ে উৎসাহিত হোক। সেই কারণে প্রস্তাবনায় কর ছাড়ের কথা বলা হয়েছে।"
"পাশাপাশি, বাজেটে চড়া মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার কোনো দিকনির্দেশিকা নেই, তার ফলে আয়করের ছাড়ের ব্যবস্থা করে সরকার নাগরিকের হাতে যে অতিরিক্ত অর্থ দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার, তাতে বাজারে চাহিদা আদৌ কতটা বাড়বে তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে," বলেন তিনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে যে বাজেট প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে তার নেপথ্যে রয়েছে ভোটের রাজনীতি।
দিল্লিতে ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। মধ্যবিত্তকে প্রথম থেকেই সন্তুষ্ট করতে চেয়ে এসেছে আম আদমি পার্টির সরকার। তাদের মন জিততে মরিয়া বিজেপিও।
বিহারে ভোটের কথা মাথায় রেখে সেখানকার পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানোর কথা ভেবেছে কেন্দ্র সরকার। কারণ বিহারে ক্ষমতায় রয়েছে নীতিশ কুমারের সরকার, যারা এনডিএ-র শরিক।
ড. দেবজিৎ ঝা বলেছেন, "ভোটের অঙ্ক সব সময়ই থেকে যায় এবং এক্ষেত্রেও আছে। লোকসভা নির্বাচনে তেমন ফলাফল না করার একটা বড় কারণ হয়ত মধ্যবিত্ত খুশি ছিল না।"
"প্রতিটা সরকারের অল্পদর্শিতার একটা দিক থেকে যায় ভোটের অঙ্কের কথা মাথায় রেখে। বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে সরকারকে পপুলিস্ট নীতি নিতেই হয়। কিন্তু ভোটের অঙ্ক থাকা সত্ত্বেও সরকার এমন পপুলিস্ট নীতি নেয়নি।কারণ অর্থনীতি অপেক্ষাকৃত ভালো ছিল। কিন্তু এইবার অর্থবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ায় এই নীতি নিতে হয়েছে।"