নির্দিষ্ট স্টপেজে বাস না থামানোও আহত হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। আহত শিক্ষার্থীর নাম সাদিয়া সুলতানা মিম।
বুধবার সকাল ৯.১৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নগরীর নথুল্লাবাদ আসার পথে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, সকাল ৯.১৫ টায় বিআরটিসি- ০৮ নং বাসে করে নগরীর কাঠালতলা থেকে নথুল্লাবাদ আসার পথে বাসে ওঠেন লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা মিম এবং আমিনা ইসলাম নিপা, নগরীর আমতলায় এসে সাদিয়া আমতলা স্টপেজে নামার জন্য গেটের সামনে আসে হালকা স্লো করায় ও নামার জন্য পা দিতেই বাসের গতি বাড়িয়ে দেওয়া হয় যাতে পরক্ষনেই পড়ে আহত হয় সাদিয়া তখন থুতনি কিছুটা থেঁতলে গেছে চার পাঁচটার মতো সেলাই লেগেছে, ঠোঁট কেটে গেছে, কপালে আঘাত লেগেছে, হাতের আঙুল সহ কয়েক জায়গায় গুরুতর আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, ঐ বাসের পিছনে আর একটি বাস (বিশ্ববিদ্যালয়ের) ছিল যেটি ঐ অবস্থায় দেখেও চলে যায়। পরবর্তীতে এক মোটর সাইকেল চালকের সহায়তায় আহত শিক্ষার্থীকে ফার্মেসীতে নিয়ে রক্তক্ষরন বন্ধ করে শেরে বাংলা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে একই বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বলেন,এর আগেও এরকম আরো কয়েকজনের হাত থেঁতলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে আমরা এর একটি সমাধান চাই, তাছাড়া সিঙ্গেল বাসগুলোতে হেল্পার থাকলেও ডাবল ডেকারে ড্রাইভার ছাড়া কেউ থাকে না এ বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যাতে আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা খরচ বহন করেন সে বিষয়টি উল্লেখ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, সাধারণ বোরকা পড়া মেয়েদের নামতে একটু সময় লাগে ড্রাইভাররা সে সময়টুকু দিতে আগ্রহী নেন, প্রতিটি স্টপেজে অন্তত দু' মিনিট বাস থামিয়ে রাখা উচিত।
বিআরটিসি-৮ এর চালককে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান আগের চালক ভ্যাকসিন নিতে যাওয়ায় তিনি এসেছেন আর তিনি জানেনই না যে এ রুটের স্টপেজ গুলো কোথায়।
পরিবহন পুলের ম্যানেজার মেহেদী হাসান বলেন, এই বিষয়ে তিনি অভিযোগ শুনেছেন এবং বাস ড্রাইভারের সাথে কথা বলেছেন,সে বলেছে স্টুডেন্ট যেখানে নেমেছিলো সেখানে স্টপেজ ছিলনা। মেয়েটি লাফ দিয়েছিলো।
আরও জানান, তিনি ড্রাইভারদের সাথে মিটিং করে ব্যবস্থা নিবেন। এবং এমন দূর্ঘটনা যেনো আর না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। এমন দূর্ঘটনা কাম্য নয়। আর শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের ব্যাপারে তিনি অবগত নন।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.মো.খোরশেদ আলম ড্রাইভারকে ডেকে এবং বিষয়টি শুনে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।